‘শিল্পাচার্য: মাস্টার অফ দ্য আর্টস- জয়নুল আবেদিন’ শীর্ষক পুস্তিকার স্প্যানিশ সংস্করণ উন্মোচন

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক: মেক্সিকো সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং রুটা ৫-এর যৌথ উদ্যোগে ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মেক্সিকোর সিনেটের উচ্চকক্ষে ‘শিল্পাচার্য: মাস্টার অফ দ্য আর্টস- জয়নুল আবেদিন’ শীর্ষক পুস্তিকার স্প্যানিশ সংস্করণটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রকলার পথিকৃৎ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জীবনী, শিল্পে তার অসামান্য অবদান এবং মেক্সিকোর সঙ্গে তার সাংস্কৃতিক সংযোগ তুলে ধরা হয়।

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সভাপতি সিনেটর যেকল পোলেনেস্কি, সিনেটর ইভিডেলিজা রেয়েস হার্নান্দেজ, রুটা ৫-এর মিসায়েল মার্টিনেজ সানচেজ, শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মার্গারিটা চাকন বাচে এবং কর্দোবার প্রতিনিধি হুয়ান ট্রেস জিলি সহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত ‘মনপুরা ৭০’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্রটি উপস্থিত দর্শকদের বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের অনন্য শিল্পকর্মগুলোর সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেয় যা ছিল তার শিল্পকর্মের কালজয়ী সাংস্কৃতিক গুরুত্ব এবং বৈশ্বিক সম্প্রীতি সৃষ্টিতে ভূমিকারই প্রতিচ্ছবি।

 

সিনেটর যেকল পোলেনেস্কি তার বক্তব্যে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের শিল্পকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং মেক্সিকোতে বাংলাদেশি ও এশীয় শিল্প প্রচারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে সাংস্কৃতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি বাংলাদেশে মেক্সিকোর দূতাবাস স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার প্রতি তার দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ১৯৫৬ সালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের মেক্সিকো সফর, দুই দেশের মধ্যে এক দীর্ঘস্থায়ী সাংস্কৃতিক সংলাপের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।

 

সিনেটর ইভিডেলিজা রেয়েস হার্নান্দেজ পুস্তিকাটির প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশি সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম পুস্তিকাটিকে মেক্সিকোর সঙ্গে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি চিরস্মরণীয় নিদর্শন হিসেবে অভিহিত করেন। রুটা ৫-এর মিসায়েল মার্টিনেজ সানচেজ রাজনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের গুরুত্ব তুলে ধরে রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।

 

মার্গারিটা চাকন তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, মেক্সিকান শিল্পীরা, বিশেষ করে হোসে ক্লেমেন্তে ওরোজকো এবং ডেভিড আলফারো সিকেইরোস, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের চিত্রশৈলী ও বিষয়বস্তুর ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিক শিল্পের প্রচারের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বিভিন্ন সংস্কৃতি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে কাজ করার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন।

 

পুস্তিকাটির আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির পরিসমাপ্তি ঘটে। অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশ দূতাবাসের অন্যান্য স্প্যানিশ ভাষায় প্রকাশিত পুস্তক (জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের সিন্ধু হিন্দোল, বিউটিফুল বাংলাদেশ) নিয়েও গভীর আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন যে এই সকল প্রকাশনাগুলো বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যেকার বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে।

 

বাংলাদেশ দূতাবাস এই সাংস্কৃতিক আয়োজনকে সফল করতে যারা সহযোগিতা করেছেন এবং অংশগ্রহণ করেছেন তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

» রাজাকারের নাতিপুতি আখ্যা দেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল অপমানজনক

» নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষ পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেবে: টুকু

» রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার পাশে থাকবে: আসিফ নজরুল

» প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে যাচ্ছেন ৪ রাজনীতিবিদকে নিয়ে

» এবারের দুর্গাপূজা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» দুর্গাপূজায় আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক ও প্রতিরোধের প্রস্তুতি থাকতে হবে: তারেক রহমান

» পিআর দাবি জনগণের আঙ্খাকার সঙ্গে ‘মুনাফেকি’: রিজভী

» পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় অতন্দ্র প্রহরী হোন: নেতা-কর্মীদের মির্জা ফখরুল

» সফররত ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

‘শিল্পাচার্য: মাস্টার অফ দ্য আর্টস- জয়নুল আবেদিন’ শীর্ষক পুস্তিকার স্প্যানিশ সংস্করণ উন্মোচন

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক: মেক্সিকো সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং রুটা ৫-এর যৌথ উদ্যোগে ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মেক্সিকোর সিনেটের উচ্চকক্ষে ‘শিল্পাচার্য: মাস্টার অফ দ্য আর্টস- জয়নুল আবেদিন’ শীর্ষক পুস্তিকার স্প্যানিশ সংস্করণটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রকলার পথিকৃৎ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জীবনী, শিল্পে তার অসামান্য অবদান এবং মেক্সিকোর সঙ্গে তার সাংস্কৃতিক সংযোগ তুলে ধরা হয়।

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সভাপতি সিনেটর যেকল পোলেনেস্কি, সিনেটর ইভিডেলিজা রেয়েস হার্নান্দেজ, রুটা ৫-এর মিসায়েল মার্টিনেজ সানচেজ, শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মার্গারিটা চাকন বাচে এবং কর্দোবার প্রতিনিধি হুয়ান ট্রেস জিলি সহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত ‘মনপুরা ৭০’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্রটি উপস্থিত দর্শকদের বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের অনন্য শিল্পকর্মগুলোর সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেয় যা ছিল তার শিল্পকর্মের কালজয়ী সাংস্কৃতিক গুরুত্ব এবং বৈশ্বিক সম্প্রীতি সৃষ্টিতে ভূমিকারই প্রতিচ্ছবি।

 

সিনেটর যেকল পোলেনেস্কি তার বক্তব্যে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের শিল্পকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং মেক্সিকোতে বাংলাদেশি ও এশীয় শিল্প প্রচারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে সাংস্কৃতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি বাংলাদেশে মেক্সিকোর দূতাবাস স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার প্রতি তার দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ১৯৫৬ সালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের মেক্সিকো সফর, দুই দেশের মধ্যে এক দীর্ঘস্থায়ী সাংস্কৃতিক সংলাপের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।

 

সিনেটর ইভিডেলিজা রেয়েস হার্নান্দেজ পুস্তিকাটির প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশি সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম পুস্তিকাটিকে মেক্সিকোর সঙ্গে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি চিরস্মরণীয় নিদর্শন হিসেবে অভিহিত করেন। রুটা ৫-এর মিসায়েল মার্টিনেজ সানচেজ রাজনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের গুরুত্ব তুলে ধরে রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।

 

মার্গারিটা চাকন তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, মেক্সিকান শিল্পীরা, বিশেষ করে হোসে ক্লেমেন্তে ওরোজকো এবং ডেভিড আলফারো সিকেইরোস, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের চিত্রশৈলী ও বিষয়বস্তুর ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিক শিল্পের প্রচারের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বিভিন্ন সংস্কৃতি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে কাজ করার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন।

 

পুস্তিকাটির আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির পরিসমাপ্তি ঘটে। অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশ দূতাবাসের অন্যান্য স্প্যানিশ ভাষায় প্রকাশিত পুস্তক (জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের সিন্ধু হিন্দোল, বিউটিফুল বাংলাদেশ) নিয়েও গভীর আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন যে এই সকল প্রকাশনাগুলো বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যেকার বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে।

 

বাংলাদেশ দূতাবাস এই সাংস্কৃতিক আয়োজনকে সফল করতে যারা সহযোগিতা করেছেন এবং অংশগ্রহণ করেছেন তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com